বর্তমান চলচ্চিত্রে নতুন নায়িকাদের লম্বা একটা মিছিল চোখে পড়ছে সবারই। প্রায় ২০ জন নতুন নায়িকা বর্তমানে সিনেমায় অভিনয় করছেন। বেশির ভাগ পরিচালকই এখন নতুন নায়ক-নায়িকা নিয়েই সিনেমা বানাচ্ছেন। একেবারে নতুন না হলেও মাহি, ববি, আঁচল ও পরীমনিকে নতুনদের দলেই ফেলছেন সবাই এবং অন্যদের তুলনায় এই চার নতুন এগিয়ে রয়েছেন সবদিক থেকেই। এই চারজনের পাশাপাশি নতুন না হলেও ছোটপর্দার চার জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাকিয়া বারী মম ও বিদ্যা সিনহা সাহা মীমকেও নতুনদের দলেই ফেলা হয়। এই সাত নতুনকে নিয়ে চলচ্চিত্রের আশা-ভরসা বেশি। যদি এদের কারও ব্যক্তিগত সমস্যা না থাকে এবং এরা যদি কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান এবং শ্রদ্ধাশীল হন তাহলে বর্তমান ঘুমিয়ে থাকা চলচ্চিত্র শিল্প এদের হাত ধরে জেগে উঠতে পারে বলে চলচ্চিত্রবোদ্ধারা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। এই আটজনের সঙ্গে যে ক’জন নতুন মুখ স্বপ্ন নিয়ে বর্তমানে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তারা হলেন লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার মৌসুমী হামিদ, অরিন, তিশা, চ্যানেল আই ভিট টপ মডেল তানিয়া, বৃষ্টি, এদের সঙ্গে আইরিন, শিরিন শিলা, নিঝুম রুবিনা, প্রিয়ন্তী, তানহা, আলিশা, মারিয়া চৌধুরী, দিপালী, অমৃতা খান, রথী, সারাহ জেরিন, সোনিয়া, রজনী, মৌমিতা, পুষ্পিতা পপি ও সানিতা। সময়ের আলোচিত আইটেম গার্ল বিপাশা কবীর ও লায়লা নাঈমও নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন। মহরত করে এখন অভিনয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন সোহানুর রহমান সোহানের দুই আবিষ্কার মারিয়া ও টিংকি। এদের মধ্যে অনেকেই দর্শকদের সামনে এসে গেছেন। আইরিন, অমৃতা খান, সারাহ জেরিন, রথী, শিরিন শিলা, নিঝুম রুবিনা, মৌমিতা ও অমৃতা খান এক-দুটি ছবি নিয়ে দর্শকদের সামনে এসেছেন। সম্ভাবনাও জাগিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার জন্য এদের আরও কিছুটা সময় দিতে চান চলচ্চিত্রবোদ্ধারা। এদের পাশাপাশি অন্যান্য নতুন যারা কাজ করছেন, যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, নিজেদের যোগ্যতা আর পরিচালকের মুন্সিয়ানার কারণে এখান থেকেও অনেকেই চমক সৃষ্টি করতে পারেন। পারেন দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলতে। এদের ওপরে তো মৌসুমী, নিপুণ, অপু বিশ্বাসও রয়েছেন। সব মিলিয়ে নতুন নায়িকাদের লম্বা লাইন থেকে ভাল কিছু আশা করাই যায়- যদি নতুন শিল্পী এবং তাদের আবিষ্কারকদের মধ্যে চলচ্চিত্রের প্রতি দরদ থাকে, শ্রদ্ধাবোধ থাকে এবং সর্বোপরি আন্তরিকতা ভালবাসা থাকে। শুধু নায়িকা সাইনবোর্ড ব্যবহার করার জন্য যদি কেউ এসে থাকেন কিংবা বিনোদনের অংশ হিসেবে এনে থাকেন, তাহলে অতীতের অনেক হারিয়ে যাওয়া মুখের মতো এদেরও হারিয়ে যেতে খুব একটা সময় লাগবে না বলেই বিশ্লেষকদের অভিমত। তাদের কথা, এমনটি হলে নতুনদের লাইনটা কেবল দীর্ঘই হবে, চলচ্চিত্রের কোন উপকারে আসবে না। আর চলচ্চিত্র যদি উপকৃত না হয় তাহলে নতুনদের স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে।
Leave a Reply